Jyoti Malhotra: 'পাক গুপ্তচর' জ্যোতির যাতায়াত কলকাতাতেও, জেলায় জেলায় ঘুরে তুলেছেন ছবি, তথ্য পাচার করতেই?
২ মাস আগে পাকিস্তানে যান জ্যোতি। শুধুই ঘোরাফেরা নাকি তথ্য পাচারের উদ্দেশে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন জ্যোতি, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।
আবীর দত্ত, কলকাতা : পাক গুপ্তচর সন্দেহে ধৃত হরিয়ানার জ্যোতি মালহোত্র এসেছিলেন বাংলাতেও। আর বাংলায় গিয়ে এমন এমন জায়গায় ছবি আপলোড করেছেন, নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে, যাতে তীব্র হচ্ছে সন্দেহ। জ্যোতি কি বাংলা থেকেই তথ্য পাচার করেছিলেন পাকিস্তানে ? ইউটিউবার তাঁর ট্রাভেল ব্লগে যেসব ছবি বা ভিডিও আপলোড করেছেন, তাতে দেখা গিয়েছে কলকাতার বেশ কিছু ছবিও।
ট্রাভেল ব্লগিংয়ের নামে কি করছিলেন তথ্য পাচার?
ছবিই বলে দিচ্ছে, বাংলায় এসে চষে বেড়িয়েছেন জ্যোতি। শুধু কলকাতায় নয়, ঘুরে বেড়িয়েছেন জেলায় জেলায়। ট্রাভেল ব্লগিংয়ের নামে ছবিও তুলেছেন শিয়ালদা, হাওড়া, দমদমের মতো ব্যস্ত স্টেশনের। তাঁর ব্লগে আছে নদিয়ার গেদে সীমান্তর ছবিও। আশ্চর্যের বিষয়, বেড়াতে এসে তিনি সীমান্তের মতো স্পর্শকাতর জায়গাতেও গিয়েছেন। সেখানে ছবিও তুলেছেন ! এছাড়াও তাঁর ব্লগে রয়েছে বরানগর মেট্রো, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ছবিও।
কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন জ্যোতি
ভুটান যাওয়ার পথে সেবক রোডে করোনেশন ব্রিজের ছবিও তোলেন জ্যোতি। এছাড়াও সাধারণ আর পাঁচটা ব্লগারের মতো তুলে রেখেছেন কলকাতার হলুদ ট্যাক্সি, শিয়ালদা, হাওড়ার ছবি। কিন্তু তার উদ্দেশ্যটা কি আদৌ সাধারণ ছিল? দমদম, ব্যারাকপুর, হাওড়া-সহ বিভিন্ন স্টেশনের ছবি রয়েছে জ্যোতির ব্লগে। জ্যোতির কাছে কলকাতা বিমানবন্দর, রেললাইনের পাশে ঝুপড়ি, কাঁকুড়গাছি ব্রিজ, বালি ব্রিজ, দামোদর ব্রিজের ছবি রয়েছে। তিন-তিনবার ট্রেনে চেপে কলকাতায় এসেছিলেন জ্যোতি। শেষ আসা মাসতিনেক আগে। এরপর ২ মাস আগে পাকিস্তানে যান জ্যোতি। শুধুই ঘোরাফেরা নাকি তথ্য পাচারের উদ্দেশে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন জ্যোতি, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।
জ্যোতির পাক - যোগ
পহেলগাঁও হামলার আগেই পাকিস্তানে গেছিলেন তিনি। অভিযোগ এই ভারতীয় তরুণী, অপারেশন সিঁদুরের সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, এমনকী ভারতের সেনাঘাঁটি সংক্রান্ত অত্যন্ত সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI-কে দিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর ভারতীয় সেনার প্রস্তুতি সংক্রান্ত তথ্যও পাকিস্তানের হাতে পৌঁছে দিয়েছিলেন বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে জ্যোতির বিরুদ্ধে। সূত্রের দাবি, ২০২৩ সালে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন জ্যোতি মালহোত্র। সেই সূত্রেই দিল্লিতে নিযুক্ত পাক দূতাবাসের আধিকারিক দানিশের সঙ্গে পরিচয় হয়। পাকিস্তান ঘুরে ভারতে চলে আসার পরও পাক দূতাবাসের আধিকারিকের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ ছিল জ্যোতির।
আরও পড়ুন:>>