Kasba Law College Molestation : 'শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, হয় প্যানিক অ্যাটাকও, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিযুক্তর পা ধরেন নির্যাতিতা'...কিন্তু
Kolkata Kasba Law College : শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, বারবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন ছাত্রী, কিন্তু লাভ হয়নি। সম্ভ্রম বাঁচাতে অভিযুক্তদের পা-ও ধরেছিলেন। কিন্তু তাতেও তাঁকে রেয়াত করা হয়নি।
ঝিলম করঞ্জাই, ঐশী মুখোপাধ্য়ায়, রুমা পাল, কলকাতা : আর জি কর-এ সরকারি হাসপাতালের মধ্যে, On Duty ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল চিকিৎসককে। আর তার প্রায় এগারো মাস পর, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত একটা কলেজে, খাস কলকাতা শহরের বুকে, দক্ষিণ কলকাতার হৃদয়ে ভর সন্ধেয় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে, কলেজের মধ্যে একজন ছাত্রী, বারবার গণধর্ষিতা হলেন। ভয়ঙ্কর এই অভিযোগে উত্তাল রাজ্য। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে, মূল অভিযুক্ত, প্রাক্তন TMCP নেতা ও এবং কলেজের অস্থায়ী কর্মী মনোজিৎ মিশ্র (৩১) এবং কলেজের দুই পড়ুয়া প্রমিত মুখোপাধ্যায় (২০) এবং জেব আহমেদকে (১৯)। ঘটনার ভয়াবহতা যেন আরও একবার মনে করিয়ে দিল, মাত্র ১১ মাস আগে এই শহরেই নির্যাতিত হয়েছিলেন এক চিকিৎসক পড়ুয়া। ন্যাশনাল মেডিক্যালের রিপোর্ট বলছে বুক, গলা, ঘাড়ে ক্ষত, গোপনাঙ্গে আঘাত করা হয়েছে ওই আইন ছাত্রীর। গা শিউরে ওঠা সেই রিপোর্ট। এতবড় অন্যায়ের শিকার হবেন তা কি আদৌ কোনওদিন ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেছিলেন সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী?
প্যানিক অ্যাটাক হয়, শুরু হয় শ্বাসকষ্ট'
সেদিনকার ঘটনার গা শিউরে ওঠা বর্ণনা দেন নিগৃহীতা ছাত্রী। বুধবার তাঁর সঙ্গে কী কী হয়েছে তার ভয়ঙ্কর বিবরণ পুলিশে জমা দেওযা অভিযোগপত্রে তুলে ধরেছেন অভিযোগকারিণী। সবাই তাঁর পরিচিত! কেউ তাঁর কলেজের প্রাক্তনী, কেউ তাঁর মতোই পড়ুয়া! আর তাঁদের বিরুদ্ধেই ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠল! আইন কলেজের প্রথম শ্রেণির পড়ুয়ার অভিযোগ, তাঁকে যখন নির্যাতন করা শুরু হয়, তখন তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হয়, শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। তখন 'J' বাকি ২ জনকে ঘরের মধ্যে ডাকেন। নির্যাতিতা তাঁদের কাছে সাহায্য চান এবং রুবি হাসপতালে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তাঁর হাজার অনুরোধেও মন গলেনি তিন অভিযুক্তর! অভিযোগকারিণী FIR-এ লিখেছেন, তিনি তখন বাধ্য় হয়ে বলেন না হলে অন্তত একটা ইনহেলার এনে দেওয়া হোক তাঁকে। তারপর ইনহেলার এনে দিলে, তা নিয়ে তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করেন এবং বাড়ি যেতে চান। কিন্তু দেখেন, কলেজের মেন গেটে তালা লাগানো রয়েছে। এরপর তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ!
জাতীয় মহিলা কমিশনের উদ্বেগপ্রকাশ
এই ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছ জাতীয় মহিলা কমিশন। চিঠিতে তারা লিখেছে, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহতকর এবং অবিলম্বে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার উপযুক্ত ধারায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। নির্যাতিতাকে চিকিৎসা, মনোস্তাত্বিক এবং আইনি সহায়তার পাশাপাশি ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৯৬ ধারায় ক্ষতিপূরণের বিষয়েও জোর দিয়েছেন তিনি।