Live

কসবাকাণ্ডে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, আর কী কী প্রমাণ পুলিশের হাতে? বিস্তারিত কমেন্টে

 Kasba Law College Case: 'যৌনাঙ্গে আঘাত, রক্তপাত' ভয়ঙ্কর তথ্য কসবাকাণ্ডে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টে, আর কী কী প্রমাণ পুলিশের হাতে?

Kasba Law College Sexual Harassment : ক্যামেরার ফুটেজের সঙ্গে মিলে গেছে নির্যাতিতার বয়ান। এছাড়া নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টেও ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এসেছে। 

By :ABP Ananda
Edited By: Nibedita Bhattacharya
Updated at : Mon, June 30,2025, 2:59 pm (IST)

কসবাকাণ্ডে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টে কী কী বলা হয়েছে
Source : ABP Ananda

পার্থপ্রতিম ঘোষ, সন্দীপ সরকার, ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা :  কসবায় আইন কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে যত দিন এগোচ্ছে উঠে আসছে হাড়হিম করা তথ্য।  নির্যাতিতার অভিযোগের সঙ্গে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের হুবহু মিল পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দেখা গিয়েছে, যে অভিজ্ঞতার কথা আইনের ছাত্রী জানিয়েছিলেন তার সঙ্গে মিলে গিয়েছে টেকনিক্যাল এভিডেন্স। ৭ ঘণ্টার CCTV ফুটেজে নির্যাতিতাকে আটকে রেখে অত্যাচারের প্রমাণ মিলেছে। ক্যামেরার ফুটেজের সঙ্গে মিলে গেছে নির্যাতিতার বয়ান। এছাড়া নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টেও ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এসেছে।  


কসবাকাণ্ডে নির্যাতিতার ২ বার মেডিকো লিগাল টেস্টে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পুলিশের হাতে এসেছে বলে খবর সূত্রের। নির্যাতনের পরদিন তরুণী ছাত্রীর পরীক্ষা হয় ন্যাশনাল মেডিক্যালে। শনিবার সকালে নির্যাতিতার ফের মেডিকো লিগাল টেস্ট হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। ফরেন্সিক ও স্ত্রী রোগ বিভাগের ২ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই পরীক্ষা করেন। দ্বিতীয় পরীক্ষায় ঘাড়ে আঁচড়ের দাগের প্রমাণ মিলেছে বলে খবর সূত্রের। এছাড়া আঁচড়ের দাগ মিলেছে শরীরের সামনের দিকেও। যৌনাঙ্গে আঘাতের প্রমাণ, রক্তপাতের প্রমাণও মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে মেডিক্যাল রিপোর্টে।  দ্বিতীয় মেডিকো লিগাল রিপোর্ট অনুসারে যৌন নিগ্রহের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।  


এছাড়া অভিযোগকারিণী পুলিশের কাছে জানিয়েছিলেন, অত্যাচারের সময় তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসে। শ্বাস আটকে আসার উপক্রম হয়। সেই সময় অভিযুক্তদের পায়ে ধরেও রেহাই মেলেনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা, বাড়তে থাকে অত্যাচারের মাত্রা। তখন বারংবার অনুরোধে সামনের মেডিক্যাল স্টোর থেকে ইনহেলার কিনে এনে দেওয়া হয়। সেই কেনারও প্রমাণ মিলেছে। জানা গিয়েছে, ওষুধের রসিদে মিলেছে জেবের নাম, সাড়ে তিনশ টাকা দিয়ে ইনহেলার কিনেছিলেন জেব। জেব ওষুধের দোকানের বিল মিটিয়েছিলেন UPI অ্যাপের সাহায্যে। কিছু টাকা নগদে দিতে চেয়েছিলেন জেব, দোকানদার আপত্তি করার পুরো টাকা মেটান UPI অ্যাপের সাহায্যে। দোকানের CCTV ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছে  পুলিশ, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মানি রিসিটও।

এছাড়া অভিযোগকারিণী অভিযোগ করেছিলেন, যৌন নির্যাতনের সময় ক্যামেরায় ভিডিও তোলা হয়। গ্রেফতারের পর তিনজনের ফোনই বাজেয়াপ্ত করা হয়, একমাত্র মনোজিতের মোবাইলে মিলেছে তরুণীকে ব্ল্যাকমেলের ভিডিও। এতগুলি প্রমাণ এখন পুলিশের হাতে। কলকাতা পুলিশের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে জানানো হয়েছে, 'কসবাকাণ্ডে ১২ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও একজন অভিযুক্তকে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে । নির্যাতিতা ও অভিযুক্তদের মেডিকো লিগাল পরীক্ষা করা হয়েছে। বিশেষ তদন্তকারী দলের নজরদারিতে ঘটনাস্থলের ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়েছে', কসবাকাণ্ডে পোস্ট করেছে কলকাতা পুলিশ।
    
Previous Post Next Post