বুধবার থেকে ভারতের উপর ট্রাম্পের চাপানো বাড়তি শুল্ক কার্যকর হয়েছে। আমেরিকা এবং ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে যখন টানাপড়েন চলছে, তখন দুই বিদেশি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট তাতে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত চার বার ফোন করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু মোদী ফোন তোলেননি। কথাই বলেননি ট্রাম্পের সঙ্গে। জার্মানির এক সংবাদমাধ্যমে এই দাবি করা হয়েছে। অনুরূপ দাবি রয়েছে জাপানি সংবাদমাধ্যমেও। সূত্র উল্লেখ করে এই সংক্রান্ত দাবি করা হয়েছে। তবে কোন সূত্র, তা জানানো হয়নি। বুধবার থেকে ভারতের উপর ট্রাম্পের চাপানো বাড়তি শুল্ক কার্যকর হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা এবং ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে যখন টানাপড়েন চলছে, তখন দুই বিদেশি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট তাতে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। আনন্দবাজার ডট কম এই দাবির সত্যতা যাচাই করেনি।
জার্মানির সংবাদপত্র ফ্রাঙ্কফুর্টের আলগেমাইনে জ়াইটুং (এফএজ়েড) একটি রিপোর্টে লিখেছে, ‘‘সম্প্রতি ট্রাম্প ফোনে চার বার মোদীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মোদী ফোন তোলেননি।’’ আবার, জাপানের পত্রিকা নিক্কেই এশিয়া-তে গত ২৪ অগস্ট দাবি করা হয়েছে, সমঝোতার জন্য সম্প্রতি অনেক বার ট্রাম্প মোদীকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী বার বার ফোন প্রত্যাখ্যান করেছেন। এতে ট্রাম্পের হতাশা আরও বেড়ে গিয়েছে। জাপানের ওই পত্রিকা ভারতীয় এক কূটনীতিবিদকে উল্লেখ করে এই তথ্য জানিয়েছে। এ নিয়ে ওয়াশিংটন বা নয়াদিল্লির তরফে কোনও মন্তব্য এখনও করা হয়নি।
কেন ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চাইছেন না মোদী? তার কারণও উল্লেখ করা হয়েছে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে। তাতে রয়েছে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত এবং পাকিস্তান যে সেনা সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল, তা থামানোর কৃতিত্ব দাবি করেন ট্রাম্প। জানান, শুল্কের হুঁশিয়ারি দিয়ে যুদ্ধরত দুই দেশকে তিনি সংঘর্ষবিরতিতে রাজি করিয়েছেন। এই দাবি প্রথম থেকেই নয়াদিল্লি উড়িয়ে দিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফোনে কথা বললে মোদীর সঙ্গে কথোপকথন নিয়ে ট্রাম্প আবার যদি কোনও ‘ভুল ব্যাখ্যা’ করেন, সেই আশঙ্কায় তাঁর ফোন ধরতে চাইছেন না প্রধানমন্ত্রী। কিছু দিন আগে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। তা নিয়েও মোদী অসন্তুষ্ট বলে দাবি।
গত জুন মাসে কানাডায় জি২০ সম্মেলনের পর ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর সাক্ষাত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্প আগে বেরিয়ে যাওয়ায় সেই সম্ভাবনা ভেস্তে যায়। দাবি, এর পর মোদীকে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা এড়িয়ে যান। এ বার জাপান এবং জার্মানির সংবাদমাধ্যমের দাবি ঘিরে আমেরিকা এবং ভারতের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হল।