Weather Alert: নিম্নচাপ-অমাবস্যার জোড়া ফলায় বিরাট জলোচ্ছ্বাস! ভাঙল বাঁধ, কমলা সতর্কতা, বন্ধ ফেরি পরিষেবা!
র্বাভাসে বলা হয়েছে, উপকূলের এই জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। এই জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারী করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সুন্দরবন এলাকায় একাধিক ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে অমাবস্যার কটালের প্রভাবে সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের গঙ্গাসাগর, মৌসুনি, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা, কুলতলির বেশ কিছু বেহাল বাঁধ দিয়ে নোনা জল লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে। টানা বৃষ্টিতে মাটির বাঁধগুলোর সঙ্গীন অবস্থা। জলোচ্ছ্বাসের জেরে যে কোন সময় বড়সড় ধস নিতে পারে।
জেলা প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি রেখেছে। জেলা, মহকুমা ও ব্লকে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মোতায়েন আছে দুর্গত এলাকায়৷ ব্লকে শুকনো খাবার, জলের প্যাকেটও মজুত করা হয়েছে। প্রয়োজনে দুর্গত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে, এমনটাই জানান হয়েছে।
সুন্দরবনের পাশাপাশি গঙ্গাসাগরের একাধিক জায়গায় নদীবাঁধে ধস নেমেছে। বেগুয়াখালি ও মহিষামারি এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার নদী বাঁধে ধস। কোথাও কোথাও নদীবাঁধ উপচে ঢুকছে জল। এলাকা পরিদর্শন গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের। উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু নদী বাঁধ মেরামতির কাজ। পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে প্রশাসন। এ যেদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে আজই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা।
এই মুহূর্তে তার অবস্থান সাগর দ্বীপ থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে, দিঘা থেকে ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ১৯০ কিলোমিটার পূর্ব ও উত্তর-পূর্বে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ২১০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।এর জেরে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।