নবান্ন অভিযানের ডাকে ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা, অশান্তি রুখতে বাড়তি নিরাপত্তা
আন্দোলনকারীদের রুখতে হাওড়া শহরের চার মূল জায়গায় বসানো হয়েছে লোহার ভারী ব্যারিকেড।
শনিবার থেকেই নবান্নে ঢোকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোকে আটকে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। নবান্নের দিকে যাওয়ার শহরের মূল চারটি প্রবেশপথকে বড় বড় লোহার ব্যারিকেড দিয়ে সিল করে দেওয়া হবে। জিটি রোডের বঙ্গবাসী মোড়, ফরশোর রোডের রামকৃষ্ণপুর ঘাট গেট, কাজিপাড়া মোড় ও সাঁতরাগাছি মোড়ে বসানো হচ্ছে মূল ব্যারিকেডগুলো।
বড় রাস্তার পাশাপাশি নবান্ন সংলগ্ন শিবপুর, মন্দিরতলা, বেলেপোল এলাকাতেও ছোট গার্ডরেল বসানো হয়েছে। মূল চার পয়েন্টেই ২৫টি করে হাই রেজোলিউশনের ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রতিটি পয়েন্টে মোতায়েন থাকছে র্যাফ। দুটি জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিসিটিভির মাধ্যমেও দিনভর কন্ট্রোল রুমে বসে নজরদারি চালাবেন পুলিশকর্মীরা। বিভিন্ন কমিশনারেট থেকে বাড়তি দু’হাজার পুলিশ নিয়ে আসা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, "অভিযানকারীদের রুটম্যাপ যেহেতু সুনিশ্চিত হয়নি, তাই সবদিকের পরিস্থিতির উপরই নজর রাখা হবে।"
এদিকে এদিনও চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা মঞ্চের নবান্ন অভিযানের কারণে সকাল আটটার মধ্যে তাঁদের হাট গুটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পোড়া মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতির (সেন্ট্রাল) সভাপতি মলয় দত্ত বলেন, "চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য আমরাও সহমর্মী। কিন্তু বারবার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক কর্মসূচির ক্ষেত্রে সোম ও মঙ্গলবারকেই নবান্ন অভিযানের দিন হিসাবে বেছে নেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহে এই দুটি দিনের উপরেই গোটা মঙ্গলাহাটের ব্যবসা নির্ভর করে। লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হচ্ছে।"