kolkata law college: কসবাকাণ্ডে এবার গ্রেফতার নিরাপত্তারক্ষী, 'গণধর্ষণের সময়' কী করছিলেন তিনি? সামনে বড় তথ্য
Kolkata Kasba Law College Arrest : কেনই বা তিনি জেনেশুনে মুখ বন্ধ রাখলেন তিনি? কেনই বা পরদিনই তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানাননি? ভয়ে নাকি আরও কিছু চাপ ছিল?
কসবাকাণ্ডে এবার গ্রেফতার নিরাপত্তারক্ষী
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন তিন জন। এবার গ্রেফতার নিরাপত্তারক্ষী। নির্যাতিতার অভিযোগ ছিল, নিরাপত্তারক্ষীর কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি।কেন নিরাপত্তারক্ষী সাহায্যে এগিয়ে আসেননি ? কেনই বা তিনি জেনেশুনে মুখ বন্ধ রাখলেন তিনি? কেনই বা পরদিনই তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানাননি? ভয়ে নাকি আরও কিছু চাপ ছিল?
অভিযোগকারিণীর বয়ান অনুসারে, তরুণীকে সাহায্য করার পরিবর্তে গার্ড রুম থেকে চলে যান নিরাপত্তারক্ষী। তিনি উল্টে অভিযুক্তদেরই সাহায্য করেছিলেন বলে নির্যাতিতা অভিযোগ করেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজে এই নিরাপত্তারক্ষীকে সেখানে দেখেছেন। তাহলে তাঁকে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি কেন, উঠছে প্রশ্ন।
প্রথম থেকেই সন্দেহের তালিকায় ছিল নিরাপত্তারক্ষীর ভূমিকা। ধৃত ৩ জনকে জেরা করে নিরাপত্তারক্ষীর কথা জানা যায়। বুধবার ঘটনার সময় ডিউটিতে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী। কেন তিনি বাধা দেননি? নির্যাতিতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেননি কেন? ঘটনার কথা কলেজ কর্তৃপক্ষকেই বা কেন জানাননি? এ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর কসবা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে আইন কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পিনাকী আদতে খড়দার বাসিন্দা, কসবায় ভাড়া থাকতেন। কসবাকাণ্ডে নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪।
সূত্রের খবর, ওই বেসরকারি নিরাপত্তা এজেন্সির সঙ্গে কলেজের চুক্তি বাকি ছিল আর কয়েক মাসের। তাই কি আর ঝামেলায় জড়াতে চাননি পিনাকি ? নাকি একটাই ক্ষমতাশালী মনোজিৎরা যে সব জেনেও মুখে রা -কাটতে পারেননি তিনি? খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
তবে কলেজের নিরাপত্তা এজেন্সির কর্ণধারের অভিযোগ, চোখের ইশারায় গার্ডরুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলত মনোজিৎ। তাঁর
ইশারায় রুম থেকে বেরিয়ে যেতে হত নিরাপত্তারক্ষীদের। তাঁর প্রশ্ন, 'ইউনিয়ন রুমের ভিতরে হকিস্টিক, লোহার রড থাকবে কেন'? অভিযোগ, 'মনোজিতের দাদাগিরি আগেও চলত, কেউ কোনও প্রতিবাদ করেনি'।
এর আগে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কলেজের TMCP-র প্রাক্তন ইউনিট প্রেসিডেন্ট মনোজিৎ মিশ্র (৩১) সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিরা হলেন তৃতীয় সিমেস্টারের পড়ুয়া প্রমিত মুখোপাধ্যায় (২০) এবং জাহিদ আহমেদ (১৯)। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে কসবার তালবাগান থেকে মনোজিৎ ও জাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ধরা পড়েন প্রমিত। মনোজিৎ বর্তমানে কলেজের অস্থায়ী কর্মী। এবং আলিপুর আদালতে প্র্যাকটিস করেন।
অভিযোগ, সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ জোর করে নিয়ে যাওয়া হয় ইউনিয়ম রুমের পাশের ঘরে। সেখানে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায় রাত ১০টা ৫০ পর্য়ন্ত যৌন নির্যাতন চালান মনোজিৎ। ওই সময় বাইরে পাহারা দিচ্ছিলেন প্রমিত ও জাহিদ। নিরাপত্তারক্ষীর থেকে কোনও সাহায্যই পাওয়া যায়নি।
Tags
#Kasba Law College