Live

মনোজিতের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন আরও এক ছাত্রী..বিস্তারিত পড়ুন

 Kasba College Incident Update: 'রুমে ছিটকিনি মেরে দেয়, শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে...', মনোজিতের 'নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন' আরও এক ছাত্রী

Kasba College: শুনলেই গা শিউরে উঠতে বাধ্য ! শুনলেই লজ্জায়-ঘেন্নায় শরীর ঘিনঘিন করবে !


কলকাতা : কসবাকাণ্ডই প্রথম নয়, ২০২৩ সালেও তৃণমূল কর্মী মনোজিৎ মিশ্রের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন আরও এক ছাত্রী। সেবার পিকনিকে গিয়ে তাঁকে নির্যাতন করেছিল প্রভাবশালী নেতা মনোজিৎ মিশ্র। শিউরে ওঠার মতো অভিজ্ঞতা এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন কলকাতার বাইরে এক জায়গার বাসিন্দা ওই ছাত্রী।

শুনলেই গা শিউরে উঠতে বাধ্য ! শুনলেই লজ্জায়-ঘেন্নায় শরীর ঘিনঘিন করবে ! কিন্তু, অন্য়রা যা কানে শুনতে পারছেন না, অবলীলায় তা করতে পারতেন কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল কর্মী মনোজিৎ মিশ্র ! আর তাঁর বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তাঁরই হাতে নির্যাতনের শিকার, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজেরই আরেক ছাত্রী ! তাঁর অভিযোগ, ২০২৩ সালে একটি কলেজ পিকনিকে তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তৎকালীন দাপুটে-প্রভাবশালী নেতা মনোজিৎ মিশ্র !

অভিযোগকারিণী ছাত্রী বলেন, "মদের অ্যারেঞ্জমেন্ট করা হয়েছে মনোজিতের আন্ডারেই। আমি যখন ফোনটা রাখতে যাই, রাখার সঙ্গে সঙ্গে আমি শুনতে পাই, ওই রুমটার দরজা দেয়। ছিটকিনি মেরে দেয়। যেই আলোটা এসেছে, তখন পরিষ্কার হল ওটা মনোজিৎ। শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে আমার দিকে এগোচ্ছিল। প্রচণ্ড মত্ত অবস্থায় ছিল।"

বহু দূর থেকে আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মা-বাবাকে ছেড়ে কলকাতায় এসেছিলেন পড়তে ! আর এই অবস্থায় নিজেরই কলেজের এক সিনিয়রের ভয়ঙ্কর চেহারা দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী ! অভিযোগকারিণী ছাত্রী বলেন, "আমি বলি, দাদা এখন দরজাটা বন্ধ করো না। আমি বাইরে বেরবো। সে কথাটা অগ্রাহ্য করে আমার হাত থেকে ফোনটা ছিনিয়ে নেয়। আমার হাত চেপে সে পিছনে ঠেলে নিয়ে যায় ব্য়ালকনিতে। যতটা আমার শরীরে জোর ছিল, আমি ঠেলে সরানোর চেষ্টা করি। কিন্তু সে কোনওভাবেই সরে না। গলার মধ্য়ে কামড়াতে শুরু করে, সে আমার বডির ওপর খুব অশ্লীল মন্তব্য করতে করতে, বুকের মধ্য়ে হাত দিয়ে অন্তর্বাসটা ছিঁড়ে দেন।"

প্রাণপণে নিজের সম্ভ্রম বাঁচানোর চেষ্টা করে যান ওই ছাত্রী ! কিন্তু মনোজিৎ তো তখন সব কিছুর ঊর্ধ্বে ! প্রভাবশালীদের মদতে প্রশ্রয়ে তাঁর দাপট তখন তুঙ্গে ! অভিযোগকারিণীর কথায়, "আমার বাবার নাম বলেন। আমার বোন কোন স্কুলে পড়ে, এটাও বলা হয়, বোনকে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে যাবে। ২০ মিনিট লাগবে না বাবা-মায়ের আতা-পাতা মিটিয়ে দেবে। তারপরেই বলে যদি এটা না চাস যে আমি এগুলো করি তাহলে আমি যেভাবে ছুচ্ছি, সেভাবে ছুঁতে দে। ৩০-৩৫ সেকেন্ডের জন্য আমার হুঁশ ছিল না। আমার যদি ৩০-৩৫ সেকেন্ডের থেকে বেশি জ্ঞান হারাত তাহলে আজকের নির্যাতিতাটা আমিই হতাম।" শেষমেষ সেইসময় দরজায় অন্য কেউ নক করায় সেই যাত্রায় রেহাই পেয়েছিলেন ওই তরুণী।
Previous Post Next Post