Live

আমেরিকার হামলার পরই ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ৪৫ মিনিট কথা প্রধানমন্ত্রীর , কী নিয়ে আলোচনা ?

 US Attacks Israel : যদিও ইরানের ওপর আমেরিকার সরাসরি হামলার পরই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।



US Attacks Israel : গতকালই ইরানের রাষ্ট্রদূতের তরফে এসেছিল বার্তা। গ্লোবাল সাউথের লিডার হিসাবে ভারতকে মুখ খুলতে বলেছিল ইরান। ইরানের ওপর ইজরায়েলের আক্রমণের নিন্দা করার আহ্বান জানানো হয়েছিল নয়াদিল্লিকে। যদিও ইরানের ওপর আমেরিকার সরাসরি হামলার পরই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

কী কথা হয়েছে দু'জনে
এদিন নিজেই সোশাল মিডিয়ায় সেই বিষয়ে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে তিনি বলেছেন, “ইরানের প্রেসিডেন্ট @drpezeshkian এর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য আলোচনা ও কূটনীতির জন্য  আহ্বান জানিয়েছি।” সোশাল মিডিয়া হ্য়ান্ডেল  X-এ পোস্ট করে এই কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

৪৫ মিনিট কথা 
ইরানের পারমাণবিক গবেষণাগারে মার্কিন হামলার প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ ৪৫ মিনিট কথা হয়েছে পেজেশকিয়ান ও মোদির। এই বার্তালাপে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বিস্তারিতভাবে অবহিত করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। যেখানে তিনি অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত সম্পর্কে তার মতামত ব্য়ক্ত করেছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্টকে এই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ইরানে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধিতে ভারতের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি জানান, ভারত শান্তি ও মানবতার পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে উত্তেজনা হ্রাস, আলোচনা ও কূটনীতির উপর জোর দেন। তিনি আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

এর পাশাপাশি ইরানের কাছে ভারতীয়দের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সাহায্যের জন্য প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এখানেই শেষ নয়, দুই নেতা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, জনগণ-মানুষের মধ্যে সম্পর্ক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

ইরান বনাম ইজরায়েল সংঘাতে ঘোর সঙ্কট। সেই আবহে প্রমাদ গুনতে শুরু করল ভারতও। কারণ যুদ্ধের আবহে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। এমনিতে ভারত থেকে অনেক দূরে অবস্থিত হলেও, ইরান হরমুজ জলপ্রণালী বন্ধ করে দিলে পকেটে টান পড়বে ভারতীয়দের। গোটা এশিয়ার উপরই এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। (Strait of Hormuz)

ইরান, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মাঝে অবস্থিত এই হরমুজ প্রণালী। এই হরমুজ প্রণালীর মাধ্যমেই সংযুক্ত উত্তরের পারস্য উপসাগর এবং এবং দক্ষিণের ওমান উপসাগর, যা আবার আরব সাগরকে যুক্ত করেছে। মাত্র ৩৪ কিলোমিটার চওড়া ওই প্রণালীটি। এর মধ্যে আবার সামান্য এলাকাই জাহাজ চলাচলের উপযুক্ত। কিন্তু অতি সঙ্কীর্ণ মনে হলেও, ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম ভরকেন্দ্র হরমুজ প্রণালী। 

সঙ্কীর্ণ ওই জলপ্রণালী দিয়ে পৃথিবীর তাবড় তেলের ট্য়াঙ্কার যাতায়াত করে। গোটা পশ্চিম এশিয়ার তেল এবং গ্যাস উৎপাদনকারী দেশগুলি ওই জলপ্রণালীর মাধ্যমেই পৃথিবীর সর্বত্র পণ্য সরবরাহ করে। প্রতি মুহূর্তে সেখান দিয়ে জাহাজ আনাগোনা করে। ইরানের ‘বন্দর আব্বাস’ নৌসেনা ও বাণিজ্যিক সমুদ্রবন্দর এই হরমুজ প্রণালীর উপর অবস্থিত। 

Previous Post Next Post