Iran-Israel Ceasefire: ফের সাত তাড়াতাড়ি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ট্রাম্পের, মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় কাতার, কিন্তু ইরান ও ইজরায়েল কী বলছে?
Donald Trump:ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প।
নয়াদিল্লি: সংঘাত ক্রমশ যুদ্ধের আকার ধারণ করছিল। সেই আবহে হঠাৎই যুদ্ধবিরতি। ১২ দিন ব্যাপী যুদ্ধপরিস্থিতি শেষে, ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেলন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান এবং ইজরায়েলের তরফে বিবৃতি আসার আগেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করে দুই দেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সম্মুখ সমরে থাকা ইরান এবং ইজরায়েল কী বলছে? তারা কি যুদ্ধবিরতিতে রাজি? উঠছে প্রশ্ন। (Iran-Israel Ceasefire)
CNN জানিয়েছে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, দেশের বিদেশ সচিব তথা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ তৃতীয় পক্ষ মারফত ইরানের সঙ্গে কথাবার্তা চালান। হোয়াইট হাউসের তরফে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়, যাতে সম্মত হয় ইজরায়েল। তবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের তরফে শর্ত দেওয়া হয়েছে যে, ইরান যদি হামলা না চালায়, তারাও আর আঘাত হানবে না। (Donald Trump)
অন্য দিকে, ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিক ভাবে ইজরায়েলের সঙ্গে কোনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি এখনও পর্যন্ত। তবে স্থানীয় সময় অনুযায়ী, ভোর ৪টের মধ্যে ইজরায়েল যদি আক্রমণ বন্ধ করে দেয়, তাহলে তাঁদের তরফেও আর আঘাত হানা হবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় আব্বাস লেখেন, 'বরাবর একটাই কথা বলে আসছে ইরান: ইজরায়েলই যুদ্ধের সূচনা করে। উল্টো দিক থেকে তাদের উপর আঘাত হানা হয়নি। এখনও পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধ রাখা নিয়ে কোনও চুক্তি হয়নি। তবে তেহরানের সময় অনুযায়ী ভোর ৪টের মধ্যে ইজরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে বেআইনি আগ্রাসন বন্ধ করলে, আমাদেরও আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই। সামরিক অভিযান বন্ধ করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে সেই মতো'।
তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনও কিছু বলা না হলেও, আব্বাস সামরিক সংঘাতে সমাপ্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, 'ইজরায়েলকে আগ্রাসনের শাস্তি দিতে আমাদের শক্তিশালী সেনাবাহিনী শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত, ভোর ৪টে পর্যন্ত সামরিক অভিযান চালিয়ে গিয়েছে। ইরানের সমস্ত নাগরিকদের তরফে সেনাবাহিনীর সাহসিকতাকে কুর্নিশ, যারা দেশরক্ষায় শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়তে প্রস্তুত, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যারা শত্রুর হামলার জবাব দিয়ে গিয়েছে'।
হোয়াইট হাউসের দাবি, আমেরিকার জন্যই এই যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে। আমেরিকা তাদের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালানোর পরই সুর নরম করেছে ইরান। সূত্রের খবর এই যুদ্ধবিরতিতে কাতার মধ্যস্থতা করেছে। CNN-এর খবর অনুযায়ী, কাতারে আমেরিকার সেনাঘাঁটিতে ইরান হামলা চালানোর পর, দেশের এমিরকে মধ্যস্থতা করতে অনুরোধ জানান খোদ ট্রাম্প। সেই মতো কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল-থানি ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করান। এর পর ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ইরান এবং ইজরায়েলের সামরিক অভিযান যে পর্যায়ে রয়েছে, তা শেষ হলেই আগামী ছ'ঘণ্টার মধ্যে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
এর আগে, মে মাসে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত চলাকালীনও, সাত তাড়াতাড়ি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন ট্রাম্প। জানান, তাঁর জন্যই বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। পাকিস্তান সেই নিয়ে কোনও আপত্তি না করলেও, ভারত জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে তৃতীয় কোনও পক্ষের ভূমিকা ছিল না। ভারত এবং পাকিস্তান পারস্পরিক সম্মতিতেই যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছয়।