Live

বিবাহিত, অবিবাহিত, বিধবা, লিভ ইনে থাকা সব মহিলাদের জন্য 'করওয়া চৌথ' পালন বাধ্যতামূলক করার দাবি। আদালত বলল... বিশদ পড়ুন। #KarwaChauth #KarvaChauth #SupremeCourt #ABPAnanda

 Karwa Chauth Mandatory Appeal: ‘মেয়েদের জন্য বাধ্যতামূলক হোক করওয়া চৌথ’, আবেদন সুপ্রিম কোর্টে, আদালত বলল…

Supreme Court: ভারতীয় মহিলা, বিয়ে হোক বা না হোক, সকলের জন্য ‘করওয়া চৌথ’ বাধ্যতামূলক করতে হবে বলে আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।


নয়াদিল্লি: ভারতীয় মহিলাদের জন্য ‘করওয়া চৌথ’ বাধ্যতামূলক করার দাবি। সেই নিয়ে আবেদন পর্যন্ত জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। আর সেই আবেদন নিয়ে কড়া মন্তব্য করল দেশের শীর্ষ আদালত। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মামলাটি করা হয়েছে বলে জানালেন বিচারপতি। পত্রপাঠ সেই আবেদন খারিজও করে দিলেন। (Karwa Chauth Mandatory Appeal)

বিয়ে হোক বা না হোক, সব ভারতীয় মহিলার জন্য ‘করওয়া চৌথ’ বাধ্যতামূলক করতে হবে বলে আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার সেই মামলা শুনানির জন্য উঠলে আবেদনটির তীব্র সমালোচনা করে আদালত। বলা হয়, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই আবেদন জমা দেওয়ানো হয়েছে। নিজেরা সামনে না এসে, আড়াল থেকে আবেদনপত্রটি জমা দেওয়া করিয়েছেন।” (Supreme Court)

মূলত হিন্দি বলয়ে ‘করওয়া চৌথ’ পালনের রীতি রয়েছে। বিবাহিত মহিলারা স্বামীর দীর্ঘায়ু ও মঙ্গলকামনায় এই ব্রত পালন করেন। ভোর থেকে না খেয়ে উপোস করেন তাঁরা। রাতে চাঁদ দেখে তবেই মুখে কিছু দেন। ‘করওয়া চৌথ’ পালন নিয়ে সমালোচনাও কম নেই। মেয়েদের উপোস করিয়ে রাখার এই রীতি আসলে পুরুষতন্ত্রের আধিপত্যেরই পরিচায়ক বলে মনে করেন সমালোচকরা
 

সেই ‘করওয়া চৌথ’ নিয়েই আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। আবেদনকারী জানান, প্রত্যেক ভারতীয় মহিলার জন্য ‘করওয়া চৌথ’ পালন বাধ্য়তামূলক করা হোক। সেই মর্মে আদালত নির্দেশ দিক কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি এবং হরিয়ানার রাজ্য সরকারকে। ওই আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। 

হরিয়ানার পঞ্চকুলার বাসিন্দা নরেন্দ্র মালহোত্র বিবাহিত, অবিবাহিত, বিধবা সকলের জন্য 'করওয়া চৌথ' বাধ্যতামূলক করার যুক্তি দিয়ে বলেন, "করওয়া চৌথ সৌভাগ্যের প্রতীক। বিধবা মহিলাদের করওয়া চৌথ পালন করতে না দেওয়া অন্যায়। মা পার্বতীর সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। তাই বিধবা, ডিভোর্সি, লিভ ইন সম্পর্কে থাকা, সব মহিলার জন্য বাধ্যতামূলক করা হোক করওয়া চৌথ।"

কেন ওই আবেদনটি গৃহীত হল আদালতে, আসল উদ্দেশ্য কী ছিল, তা নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। কিন্তু আবেদনপত্রে অনেক খামতি রয়েছে বলেও মনে করছেন আইনজীবীরা। তাঁদের মতে, কোথাও ‘করওয়া চৌথ’ পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে কোনও অভিযোগ নেই। সুপ্রিম কোর্টও বিষয়টির উল্লেখ করে। আদালত জানায়, এই ধরনের আবেদনের সঙ্গে জনস্বার্থের কোনও সম্পর্ক নেই। বরং বিচারপ্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটায় এই ধরনের আবেদন।

তবে এই প্রথম বার নয়। এর আগে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টেও এই মর্মে আবেদন জমা পড়েছিল। সেবারও আদালত আবেদনটি খারিজ করে এবং আবেদনকারীকে ১০০০ টাকা জরিমানা করে। আবেদনটিকে ‘সারবত্তাহীন’ এবং ‘উটকো’ বলে সেই সময় মন্তব্য করেছিল আদালত। এর পর সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ে আবেদন।


টাইটান্সের ওপেনাররা ২০০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জেতালেন  বিস্তারিত পড়ুন #DCvsGT #SaiSudarshan #ShubmanGill #IPL2025 #ABPLIVE


Previous Post Next Post