Live

‘নিজের হয়ে নিজেই লড়ুন’! চাকরিহারাদের নজিরবিহীন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

 ‘নিজের হয়ে নিজেই লড়ুন’! চাকরিহারাদের নজিরবিহীন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের


বিক্ষোভে অংশ নেওয়াই কি অপরাধ? অন্তত এমনই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরিহারা দুই শিক্ষক। বিকাশ ভবনের (Bikash Bhawan) সামনে প্রতিবাদে অংশ নেওয়ায় পুলিশ একের পর এক নোটিস পাঠাচ্ছে তাঁদের, এমনকী কখনও স্কুলে, কখনও বা বাড়িতে এসে পড়ুয়াদের সামনেই ধরিয়ে দিচ্ছে সেই নোটিস। এই ঘটনা ঘিরে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন শিক্ষক ও তাঁদের আইনজীবী। দুই মামলাকারী শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডল ও সঙ্গীতা সাহা জানিয়েছেন, তাঁরা কোনও অপরাধ করেননি, শুধুমাত্র ন্যায্য চাকরির দাবিতে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। কিন্তু তার জেরেই পুলিশ একের পর এক নোটিস পাঠিয়ে চলেছে। তাঁদের বক্তব্য, স্কুল চত্বরে পড়ুয়াদের সামনে এভাবে হেনস্থা ‘সামাজিক অবক্ষয়ের’ নিদর্শন। পুলিশের এই ভূমিকার বিরুদ্ধেই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

হাইকোর্টের পরামর্শ ১০০ জন একসঙ্গে এলে শুনবেন বিচারপতি

এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়ে দেন, শুধু একজনের আবেদন নয়, একাধিক শিক্ষক যদি যৌথভাবে মামলা করেন, তাহলে শুনানি হবে। তাঁর মন্তব্য, “১০০ জন একসঙ্গে মামলা করলে আমি শুনব, কাউকে ফিরিয়ে দেব না।” তিনি পরামর্শ দেন, প্রত্যেক শিক্ষক যেন নিজ নিজ ভাবে বা সম্মিলিত ভাবে মামলা করেন, তবে অন্যের মামলায় যুক্ত হওয়া যাবে না। শিক্ষকদের পক্ষের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আদালতে জানান, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বোর্ড এখনও নোটিস পাঠিয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই বিচারপতি সাফ জানান, “আমার নির্দেশ কেউ অমান্য করে থাকলে, আমি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।” বোঝা যাচ্ছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে শুধু পুলিশের নয়, বোর্ডের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে পারে আদালত।

আগস্টে ফের শুনানি আদালতের নজর পুলিশের ভূমিকার দিকে

আদালত সূত্রে খবর, মামলার পরবর্তী শুনানি আগস্ট মাসে হবে। তবে তার আগেই পুলিশের তরফে যদি আরও কোনও নোটিস যায়, কিংবা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে আদালতের কড়া প্রতিক্রিয়া আসতে পারে। শিক্ষকরা আশা করছেন, সম্মিলিতভাবে মামলা করলে আদালত তাঁদের পাশে দাঁড়াবে।

Previous Post Next Post