32000 Teacher Case: আজ কলকাতা হাইকোর্টে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হল। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। দুপুর ২টো থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৩টে পর্যন্ত শুনানি চলে। শিক্ষকদের পক্ষে সওয়াল করেন দুই বর্ষীয়ান আইনজীবী।
শুনানির মূল বিষয়বস্তু:
- দুর্নীতির অভিযোগ: শুনানির শুরুতেই বিচারপতি পশ্চিমবঙ্গের সর্বব্যাপী দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
- অ্যাপটিটিউড টেস্ট বিতর্ক: অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কি না, তা নিয়ে শুনানিতে দীর্ঘ সওয়াল-জবাব হয়।
- শিক্ষকদের আইনজীবী দাবি করেন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিচারপতি বিভিন্ন সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে এই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরেন।
- উত্তর দিনাজপুরের একটি মামলার রায়ের প্রসঙ্গ টেনে আইনজীবী বলেন, সেখানে অ্যাপটিটিউড টেস্ট হওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা সারা রাজ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
- শিক্ষকদের আদালতে উপস্থিতি: চাকরিহারা শিক্ষকদের আদালতে উপস্থিতি নিয়ে বিচারপতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। স্কুল চলাকালীন তাঁরা কীভাবে আদালতে হাজির হলেন, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
- প্যানেল প্রকাশ: প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছিল কি না, তা নিয়েও বিতর্ক হয়।
- আইনজীবীর দাবি, প্যানেল প্রকাশ করে ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের (DPSC) কাছে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, রুল ৯ অনুযায়ী সেই প্যানেল প্রকাশ্যে কেন আনা হয়নি?
- উত্তরে আইনজীবী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের নিয়োগ নিয়ম অনুযায়ী প্যানেল প্রকাশ্যে আনার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
- দুর্নীতির দায়:
- আইনজীবী বলেন, অন্য নিয়োগে দুর্নীতি হলেও এই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কোনও প্রমাণ নেই।
- তিনি আরও বলেন, যদি দুর্নীতি হয়েও থাকে, তার দায় নিয়োগকারী বোর্ডের, চাকরিপ্রার্থীদের নয়।
- বিচারপতি প্রশ্ন করেন, যদি বেশ কয়েক বছর পর দুর্নীতি প্রমাণিত হয়, তাহলে তার দায় কে নেবে? জবাবে আইনজীবী বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সুরাহা দেওয়া হবে।
- আদালতের ভূমিকা: বর্ষীয়ান আইনজীবী বলেন, আদালত অভিভাবকের ভূমিকা পালন করে। তাই একসঙ্গে সকলের চাকরি বাতিল না করে, যোগ্য ও বঞ্চিতদের সুযোগ দেওয়া উচিত।
পরবর্তী শুনানি:
এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৩০ ও ৩১শে জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিনই মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।