India Pakistan Conflict: 'কোনও যুদ্ধই হয়নি, দু-একটা মিসাইল ওদিকে গিয়েছে, কোথায় জঙ্গিঘাটি ধ্বংস ?' ; কেন্দ্রের কাছে 'প্রমাণ' চাইলেন সৌগত রায়
Sougata Attacks Modi Govt On India Pakistan Conflict: কেন্দ্রের মোদি সরকারের কাছে প্রত্যাঘাতের বিষয় নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়
কোনও যুদ্ধই হয়নি, দু-একটা মিসাইল ওদিকে গিয়েছে, কোথায় জঙ্গিঘাটি ধ্বংস ?', কেন্দ্রের কাছে 'প্রমাণ' চাইলেন সৌগত রায়
সৌগত রায় বলেছেন, 'কোনও যুদ্ধই হয়নি। ব্যাপারটা প্রায় হাস্যকর হয়েছে। ড্রোন এদিক থেকে ওদিকে গিয়েছে। দু-একটা মিসাইল এদিক থেকে ওদিকে গিয়েছে। কোনও মেজর তফাৎ হয়নি। কোথায় জঙ্গিঘাটি ধ্বংস হয়েছে ? তার প্রমাণ কেন্দ্রীয় সরকার রাখুক না মানুষের সামনে।আমি তো দেখছি ছবিতে, ওই একটা দুটো মাসুদ আজাহারের যে জায়গা, পুরনো ভাঙা বাড়ি, একে জঙ্গিঘাটি ধ্বংস করা বলে ? পাকিস্তানের কোন অস্ত্র আমরা ধ্বংস করতে পেরেছি। সেই প্রমাণগুলি দিন না। নের্তৃত্ব তো কিছু দেখাতেই পারল না। পাকিস্তানের মতো দেশকে একটা শিক্ষা দেওয়া গেল না। '
প্রসঙ্গত, লাগাতার সংঘর্ষ থেমেছে। বন্ধ হয়েছে গোলা-গুলি। কিন্তু এখনও উপত্য়কায় পুরোপুরি কাটেনি উদ্বেগ। এখনও ঘরছাড়া জমমুর আরনিয়া সেক্টরের বহু গ্রামবাসী। আতঙ্ক যায়নি কাশ্মীরের সীমান্ত ঘেষা গ্রামগুলিতেও! নিয়ন্ত্রণ রেখা ও সীমান্তবর্তী এলাকায়, সকুল-কলেজগুলো এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে। পাকিস্তান থেকে মুহূর্মুহু উড়ে এসেছে ড্রোন। শত্রুপক্ষের শেল গুঁড়িয়ে দিয়েছে একাধিক ঘরবাড়ি। বিনিদ্র রজনী যাপন করেছে জমমুর সাম্বা, আর এস পুরা, আখনুর, আরনিয়া। এখন সংঘর্ষ বিরতি। গোলা-গুলি থেমেছে কিন্তু এই নীরবতার মধ্য়েও লুকিয়ে রয়েছে উদ্বেগ। স্বস্তি ফেরেনি পাকিস্তান ঘেঁসা জম্মুর সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে।
ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের সময় পরপর তিনটি গোলা এসে পড়ে গ্রামের ভিতরে।প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে রাতভর বাঙ্কারে কাটান গ্রামবাসীরা!সকাল হতেই গ্রাম ছাড়েন। অনেক বাড়িতেই তালা ঝুলছে। আর গোটা গ্রাম একপ্রকার বলা যেতে পারে মানুষশূন্য। ২-১ টি বাড়িতে বাসিন্দারা ফিরেছেন। কিন্তু যারা ফিরেছেন তারা ২-১ টি পশুপালন, চাষবাষের কারণে দিনের বেলা থাকেন আবার রাতের বেলা চলে যান। জম্মু-এর এক বাসিন্দা বলেন,' ভগবানের কৃপা যে আমাদের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বাইরেই পড়েছে। বড় বড় গোলা ওদিক থেকে এসেছে। এদিক থেকেও গেছে। পাকিস্তানের থেকে ফায়ারিং হচ্ছিল। লুকনোর জায়গায় ছিল না, আমরা এই বাঙ্কারে চলে গেছিলাম। একটা গোলা আমাদের বাড়ির পিছনের দিকে পড়েছিল। কাল সকালেই ফিরেছি।'
'অপারেশন সিঁদুরের' পরও এসব কী হচ্ছে পাকিস্তানে ? আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে পাক সরকার ও সেদেশের নিরাপত্তাবাহিনীর; বেছে বেছে...
India-Pakistan Conflict: বেছে বেছে LeT জঙ্গিদের নিকেশ, পাকিস্তানে 'টার্গেট কিলিং' নিয়ে ঘুম ছুটেছে পাক সরকার ও নিরাপত্তাবাহিনীর !
Pakistan News: পাকিস্তান সংবাদ মাধ্যমও এনিয়ে খবর করে যাচ্ছে সমানে। তারপর থেকেই বিষয়টি পাক সরকার ও সেদেশের নিরাপত্তাবাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।
করাচি : একের পর এক জঙ্গি খতম । লস্কর-ই-তৈবার এক অপারেটিভ আবদুল ওয়াহিদ কুম্ভকে গুলি করে নিকেশ করা হয়েছে। তার আগেই রবিবার পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ জঙ্গি রাজাউল্লা নিজামানি খালিদ ওরফে আবু সইফুল্লা খালিকদে গুলি করে খতম করেছে সশস্ত্র লোকজন। 'অপারেশন সিঁদুরের' পর থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে LeT জঙ্গিদের এভাবে "টার্গেট কিলিং" বেড়ে গেছে। পাকিস্তান সংবাদ মাধ্যমও এনিয়ে খবর করে যাচ্ছে সমানে। তারপর থেকেই বিষয়টি পাক সরকার ও সেদেশের নিরাপত্তাবাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।
নেপাল চলে যাওয়ার আগে ভারতের একাধিক জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল নিজামানি। এরপর পাকিস্তানের নিরাপত্তা এজেন্সির সহায়তায় সিন্ধ প্রদেশে ঘাঁটি গাড়ে সে। অন্যদিকে, লস্কর-ই-তৈবার রাজনৈতিক মোর্চা মিল্লি মুসলিম লিগের সদস্য ছিল নিজের সমাজকর্মী হিসাবে পরিচয় দেওয়া কুম্ভ। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের বাদিন জেলার মাতলির একই এলাকায় তাকে নিকেশ করেছে সশস্ত্র লোকজন। স্থানীয় এজেন্সির কথায়, "আবদুল ওয়াহিদ কুম্ভকে ঘটনাস্থলে মারা হয়েছে। তাহির নামে আরও একজন সেখানে আহত হয়েছে। ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের নাম- গুলাম সাবির ও রাফাকত। তারা সিন্ধ জাতীয়তাবাদী গ্রুপ সিন্ধ দেশ রিভলিউশন আর্মির সদস্য।"