Civic Volunteer Arrest: পুলিশ কনস্টেবলের ইউনিফর্ম চুরি করে সেই পোশাকেই দুর্ব্যবহার! গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ার
Kolkata News: প্রথমে থানার এক কনস্টেবলের ইউনিফর্ম চুরি, তারপর সেই পোশাক পরে কসবা এলাকায় গিয়ে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। আর এই অভিযোগে এবার গ্রেফতার করা হল এক সিভিককে।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: ফের সিভিক ভলান্টিয়ারের কুকীর্তি ফাঁস। অভিযোগ, পুলিশ কনস্টেবলের ইউনিফর্ম চুরি ও সেই পোশাকে দুর্ব্যবহার করে সিভিক ভলান্টিয়ার নীরজ সিংহ। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয় প্রগতি ময়দান থানার সিভিক ভলান্টিয়ারকে।
সিভিক ভলান্টিয়ার: ছদ্মবেশ ধারণ এবং চুরির অভিযোগে, প্রগতি ময়দান থানার একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করল কসবা থানা। প্রথমে থানার এক কনস্টেবলের ইউনিফর্ম চুরি, তারপর সেই পোশাক পরে কসবা এলাকায় গিয়ে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। আর এই অভিযোগে এবার গ্রেফতার করা হল এক সিভিককে। দুর্ব্যবহারের অভিযোগ জানিয়ে পুলিশে ফোন করে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার রাতে ১০০ ডায়াল করে একজন ফোন করেন। তিনি অভিযোগ করেন, নীরজ সিংহ নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার কনস্টেবলের পোশাক পরে খারাপ ব্যবহার করছে। কসবা থানার পুলিশ এসে গ্রেফতার করে নীরজ সিংহকে। ছদ্মবেশ ধারণ ও চুরির মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুরু হযেছে বিভাগীয় তদন্ত। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চুরি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগেও এই ধরনের কাণ্ড ঘটিয়েছে নীরজ, জেরায় তা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। আগামীকাল তাকে তোলা হবে আদালতে।
চলতি সপ্তাহে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রকাশ্যে লরিচালকদের থেকে তোলাবাজির অভিযোগ সামনে আসে। এক মহিলা গিয়ে প্রশ্ন করায়, রীতিমতো ঘাবড়ে যান পুলিশ আধিকারিক ও সিভিক ভলান্টিয়ার। ধরা পরে যেতেই হাত জোর করে ক্ষমা চান ASI। কান্নায় ভেঙে পড়েন সিভিক ভলান্টিয়ার। ভাইরাল হয় এই ঘটনার ভিডিও। তাতে নড়েচড়ে বসে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। ক্লোজ করা হয় ASI-কে। অনির্দিষ্টকালের জন্য় ছুটিতে পাঠানো হয় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকেও। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের উপর গাড়িতে বসে রয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিভিক ভলেন্টিয়ার। লরিচালকের থেকে টাকা তোলায় এক মহিলা রীতিমতো ভর্ৎসনা করছেন তাঁদের। প্রশ্নের মুখে পড়ে টাকা তোলার দায় সিভিক ভলেন্টিয়ারের উপর চাপান তিনি। মহিলার ধমক শুনে কান ধরে ওঠবোস করেন সিভিক ভলান্টিয়ার। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। হাত জোর করে ক্ষমা চান ASI পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক। এরপরই পদক্ষেপ নেয় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটকে রিপোর্ট দেয় বরানগর থানা।