Live

ভয়ঙ্কর হুঙ্কার তিন আন্তর্জাতিক ত্রাসের, বিস্তারিত

 Pahalgam Attack : 'দিল্লি দখল করে ভারতকে শিক্ষা দেব', অস্ত্র উঁচিয়ে, ফুল ছুড়ে অঙ্গীকার হামাস-জইশের

ভারতের উপর আঘাত হানতে এককাট্টা হচ্ছে দুই কট্টর ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন। একেবারে দিল্লি দখলের নীল-নকশা আঁকছে তারা।   


By :ABP Ananda
Edited By: Nibedita Bhattacharya
Updated at : Tue, May 6,2025, 9:05 am (IST)

কলকাতা : পহেলগাঁও হামলার প্রত্য়াঘাতের অপেক্ষায় দিন গুনছে ভারত। এই আবহে সোমবার প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এদিনই এবিপি আনন্দের হাতে এল এমন চাঞ্চল্যকর ভিডিওয়, যা দেখে গা-শিউরে উঠবে। ভারতের উপর আঘাত হানতে এককাট্টা হচ্ছে দুই কট্টর ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন। একেবারে দিল্লি দখলের নীল-নকশা আঁকছে তারা। 

  ২২ এপ্রিল রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ! পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের নিধন করা হয়েছে! এই হামলার ছক  কষা হয়েছিল গেছিল আজ থেকে ৩ মাস আগে ৫ ফেব্রুয়ারি। এমনটাই প্রমাণ উঠে আসছে সাম্প্রতিক তদন্তে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটে জইশ কমান্ডার তালহা সইফ ও লস্কর জঙ্গি মাসুদ ইলিয়াসের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল হামাস নেতাকে।  এই বৈঠকেই কি কাশ্মীরকে রক্তাক্ত করার ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়েছিল? এমন সন্দেহই জোরদার হচ্ছে। সেই বৈঠকেই ভারতের বুকে এতবড় আঘাত হানার ছক  প্রস্তুত হয়ে যায়। আর সন্দেহ করা হচ্ছে, প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের সাহায্য় নিয়েছিল পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মহম্মদ। 

তাহলে কি এই প্রথম কি ভারত বিরোধিতায় সরাসরি হাত লাগাল ইজরায়েলকে বারবার রক্তাক্ত করা হামাস? হামাস ও লস্করের বৈঠকের একটি এক্সক্লুসিভ ভিডিও এবিপি আনন্দর হাতে আসার পর এই প্রশ্নগুলিই জোরাল হচ্ছে! গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, ইজরায়েল ও ভারত বিরোধী শক্তিগুলিকে সংগঠিত করা এবং নিজেদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করাই ছিল এই আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরে ঢুকছে হামাসের কমান্ডার খালিদ কাইয়ুমির গাড়ি।  সামনে ও পিছনে ঘোড়ায় করে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে তাঁকে এসকর্ট করছেন জইশের জঙ্গিরা। দু'পাশ থেকে ফুল ছুড়ে হামাসের কমান্ডারকে স্বাগত জানাচ্ছে জঙ্গিরা।আশেপাশে, সামনে পিছনে থাকা সকলের হাতেই অস্ত্র রয়েছে। আর তারমধ্যেই রয়েছে উর্দিধারী পাকিস্তানের পুলিশও! একের পর এক জঙ্গিনেতার গাড়ি সেদিন ঢুকেছিল জইশের সম্মেলনে। সেখানেই দেখা যায় লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার আবু মুসাকে। তার মুখেই শোনা যাচ্ছে, হামাস ও লস্কর জঙ্গিদের এক হয়ে ভারতের ওপর হামলা চালানোর ষড়যন্ত্রের কথা!  আবু মুসাকে বলতে শোনা যায়, 'গাজার মুজাহিদ, কাশ্মীরের মুজাহিদরা এক হয়ে গেছে...ওই দিন দূরে নয়, যখন কাশ্মীরের মুজাহিদরা গাজার মুজাহিদদের নিয়ে ভারতকে শিক্ষা দেবে। দিল্লি দখল করে নেবে এবং ভারত টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।' 


পহেলগাঁওকাণ্ডের পর NIA-সহ ভারতীয় গোয়েন্দা এজেন্সিগুলোর অনুমান হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ মিলিতভাবে হামলা চালায়।

আরও পড়ুন>>



Previous Post Next Post