Primary TET : ২৬ হাজারের পর, এবার কী রয়েছে প্রাথমিক প্রায় বত্রিশ হাজার চাকরিপ্রাপকের ভাগ্যে?
Teachers Recruitment Scam : SLST যদি সামান্য একটা নদী হয়, তাহলে দুর্নীতির একটা মহাসমুদ্র ২০১৪-র প্রাইমারি টেট। দুর্নীতি নিয়ে এমনই মন্তব্য করছেন ২০১৪-র টেট পাস চাকরিপ্রার্থীরা।
এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের মামলা নিয়ে
source: Abp ananda
সৌভিক মজুমদার, প্রকাশ সিনহা ও অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো হঠাৎ চাকরি চলে গেছে ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর । সব হারিয়ে, চক-ডাস্টার রেখে এখন রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। অন্যদিকে, প্রমাদ গুনছেন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক! ২০১৪-র টেট আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ বলছেন, ' দুর্নীতির একটা মহাসমুদ্র ২০১৪-র প্রাইমারি টেট' ।
আইনি লড়াইয়ের পথ শুরু থেকে
২৮ এপ্রিল থেকে প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি শুরু হবে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের এজলাসে। ৭ এপ্রিল এই মামলার শুনানি থাকলেও, বিচারপতি সৌমেন সেন এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোয় শুনানি পিছিয়ে যায়। এর আগে, ২০২৩ সালের ১৬ মে দুর্নীতির অভিযোগে, প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। যে নির্দেশকে চ্য়ালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারা শিক্ষকরা। তাতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্য-র ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আরও নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৩ মাসের মধ্যে ৩২ হাজার পদে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। সেই নির্দেশ বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এই অংশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নতুন করে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এরপর এই মামলা কলকাতা হাইকোর্ট ফেরত পাঠিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে ওই মামলা যায় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। অবশেষে সেই মামলা এবার গেল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে।
সূত্রে খবর, CBI-এর দিল্লির সদর দফতর থেকে নির্দেশ এসেছে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ-সহ SSC-এর দুর্নীতির যত মামলা আছে সেগুলির ফাইনাল চার্জশিট বা রিপোর্ট জমা দিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ২০১৪-র টেট দুর্নীতির সিবিআইয়ের করা মামলায়, এখনও পর্যন্ত ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।