Pahalgam Attack: পথ ছিল না পালানোর! কোন কারণে ‘স্বর্গভূমের’ বৈসরনেই রক্ত ঝড়াল সন্ত্রাসীরা?
Pahalgam Attack: কিন্তু বেছে বৈসরনেই কেন চলল হামলা? ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, প্রথমত, পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকা বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে। আর গোটা এলাকার একটা বড় অংশ ঢাকা আকাশছোঁয়া গাছপালায়।
টার্গেট বৈসরন
অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর থেকে অনেকটাই শান্ত হয়েছিল কাশ্মীর। স্বাধীনতার পর থেকে যে ছন্দ ধরেনি উপত্যকা, তা দেখা গিয়েছিল একটা অনুচ্ছেদ বাতিলের পরে। পুনরায় খুলে গিয়েছিল সিনেমা হল, নিজের মতো ঘুরে-বেড়ানোর স্বাধীনতা পেয়েছিলেন পর্যটকরা। কমেছিল নাশকতার ঘটনা। এটা যেন কাশ্মীরের নতুন অধ্যায়। আর সেই অধ্যায়কেই পুনরায় কালিমালিপ্ত করল কিছু হিংসাপন্থীরা।
কিন্তু বেছে বৈসরনেই কেন চলল হামলা? ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, প্রথমত, পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকা বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে। আর গোটা এলাকার একটা বড় অংশ ঢাকা আকাশছোঁয়া গাছপালায়। সুতরাং, ঘাঁটি তৈরির জন্য সেই জায়গা যে অন্যতম এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
দ্বিতীয়ত, নিরাপত্তার ফাঁক। বৈসরনে ঢুকতে বেশ কিছু সেনার চেক পোস্ট থাকলেও, উপত্যকায় পাহারা ওতটাও আঁটোসাঁটো নয়। সুতরাং, একবার গুলিবৃষ্টি শুরু করলে সেনার কাছে খবর যাওয়াও ভারী মুশকিল। তাছাড়া, গোটা এলাকাটাই নিরিবিলি। প্রচুর সংখ্যক পর্যটক ভিড় জমালেও, এলাকার আকার অনেকটা হওয়ায় পর্যটকরা আপন মনে নিজেদের মতো ঘুরে বেড়াতে পারেন।
এমনকি, বৈসরনের ২ কিলোমিটার পর্যন্ত কোনও মেডিক্যাল ক্লিনিক অবধি নেই। যার জেরে সেদিন হাতে-পায়ে গুলি লাগা পর্যটকদের বাঁচানোর সম্ভবনা থাকলেও, সময় ও দূরত্বের কারণে তা সম্ভব হয়নি। আর এই ফ্য়াক্টরটাকেই মাথায় রেখে বৈসরনকেই ‘টার্গেট’ করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। তবে এই নাশকতা যে শুধুই ভয় দেখানো বা ভিন্ন কাশ্মীরের দাবিতে এমনটা কিন্তু মোটেই নয়।
গত বছরে কাশ্মীরে মোট পর্যটকের সংখ্যা ছিল ২ কোটির উপর। ফলত, নতুন করে অক্সিজেন পেতে শুরু করেছিল উপত্যকার অর্থনীতি। আয় বেড়েছে স্থানীয়দের। ফলত, সন্ত্রাসের উস্কানিতে পা না দিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরছিল কাশ্মীর। এই আক্রমণ যে কাশ্মীরকে আবার মূল স্রোত থেকে ছিটকে দেওয়ারই একটা ষড়যন্ত্র, বলেই মনে করছেন একাংশের বিশেষজ্ঞরা।