Kashmir News Update : বান্দিপুরায় জঙ্গল ঘিরে পরপর গুলি ! ঘিরে ফেলেছে সেনা, এবার জালে জঙ্গিরা?
ANI সূত্রে খবর, বান্দিপোরায় কুলনার বাজিপোরা জঙ্গলে ভারতীয় সেনার তল্লাশি অভিযানের সময় গুলির শব্দ শোনা গেছে।
![]() |
শ্রীনগর : পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকে জঙ্গিদের সন্ধানে কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। জঙ্গিদের কেউ কেউ এখনও জঙ্গলেই রয়েছে গা-ঢাকা দিয়ে। এই সন্দেহে ঘিরে ফেলেছে সেনা। ক্রমাগত গুলির শব্দ। বাতাস ভারী বারুদের গন্ধে। উপত্যকা জুড়ে প্রত্যাঘাতের আবহ। প্রধানমন্ত্রী হুঙ্কার দিয়েছিলেন, 'ভারত প্রত্যেক জঙ্গিকে চিহ্নিত করে, খুঁজে বের করে শাস্তি দেবে এবং তাদের যারা মদত দেয়, পৃথিবীর শেষ প্রান্ত থেকেও তাদের ধরে আনা হবে।' পরদিনই থেকেই শুরু সেনাবাহিনীর পাল্টা !
বারামুলা, উধমপুরের পর এবার বান্দিপোরার জঙ্গলে চলছে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রে খবর, বান্দিপোরায় কুলনার বাজিপোরা জঙ্গলে ভারতীয় সেনার তল্লাশি অভিযানের সময় গুলির শব্দ শোনা গেছে। এক থেকে দু'জন জঙ্গি ওই জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে। এই খবর পেয়েই জঙ্গল ঘিরে ফেলে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। গুলির লড়াইয়ের পর ওই দুই জঙ্গিকে জওয়ানরা ধরে ফেলেছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার
বৈসরনে হামলাকারী জঙ্গিদের খোঁজ দিতে পারলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্ররোচনা থেমে নেই। গতকাল নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে পাক সেনার তরফে ফায়ারিং করা হয়। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
জঙ্গির বাড়িতে বিস্ফোরণ
শুক্রবার সকালেই কাশ্মীর থেকে এসেছে দুটি বড় খবর। পহেলগাঁও সন্ত্রাসে অভিযুক্ত জঙ্গির বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে । পুলওয়ামার অবন্তীপুরায় জঙ্গি আসিফ শেখের বাড়িতে মজুত ছিল বিস্ফোরক। খবর পুলিশ সূত্রে।নিরাপত্তাবাহিনী কাছাকাছি পৌঁছতেই উড়ে যায় বাড়িটি। অন্যদিকে এই হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আদিল গুরির বাড়িও সেনাবাহিনী উড়িয়ে দেয়।
পহেলগাঁও জঙ্গিদের নিরাপদ আস্তানা ?
পহেলগাঁওয়ের এই এলাকাটি চারদিকে বনে ঘেরা। শীতের সময় এখানে প্রবল তুষারপাত হয়। তুষার ১০ ফুট পর্যন্ত গভীর আস্তরণ গড়ে তোলে। বসন্ত ও গ্রীষ্মে এই এলাকা যতটাই মনোরম, শীকে ততটাই কঠিন-শুষ্ক। মানুষের বসবাস করাই খুবই কষ্টের। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই জায়গাগুলো সন্ত্রাসীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান । এই বন পহেলগাঁও থেকে অনন্তনাগ জেলার ত্রাল পর্যন্ত বিস্তৃত। শীতকাল শুরু হলে, সন্ত্রাসবাদীরা এই বনে আশ্রয় নিতে নেমে আসে।
সূত্রের খবর, গত বছর পাকিস্তান থেকে তিনজন সন্ত্রাসবাদী পহেলগাঁওতে এসেছিল। এতদিন তারা ত্রালে গা ঢাকা দিয়ে ছিল।মনে করা হচ্ছে, জঙ্গলের মধ্যে তাঁদের খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তারা অস্ত্র ছাড়া আর কোনও গ্যাজেট সঙ্গে রাখে না, পাছে ইলেকট্রনিক সিগন্যালের সাহায্যে তাদের ট্র্যাক করা যায়।