Kalyan Banerjee: 'নেতাগিরিও করবেন আবার চাকরিও করবেন?' জেলায় জেলায় 'মনোজিৎ মডেল' নিয়ে সরব কল্যাণ
Kasba Law College: এ প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কাউকে কাজ দিতে হলে, নেতা কেন, কর্মীদের দিন। নেতাগিরিও করবেন আবার চাকরিও করবেন? এটা মানতে পারছি না'।

এবার জেলায় জেলায় 'মনোজিৎ মডেল' নিয়ে সরব কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
Source : ABP Ananda
কলকাতা: TMCP করলেই কলেজে চাকরি! জেলায় জেলায় 'মনোজিৎ মডেল'! এবার জেলায় জেলায় 'মনোজিৎ মডেল' নিয়ে সরব কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কসবা, উত্তরপাড়ার পর এবার কাকদ্বীপ কলেজ। কাকদ্বীপ কলেজে TMCP নেতা-কর্মীদের নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক। কলেজে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করছেন TMCP-র ৭ নেতা-কর্মী।
এ প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি কোনও দলের তরফ থেকে বলছি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটা ঠিক নয়। তুমি যদি তৃণমূলেরই লোককে দেবে, নেতাদেরকে কেন দেবে? অন্য কর্মীদের দাও ভাই। নেতাগিরিও করব, আবার চাকরিও করব, এই দুটো জিনিস হতে পারে না।'
এদিকে, ২০২২ সালে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ৭ নেতা-কর্মীকে নিয়োগের কথা স্বীকার কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরার। কাকদ্বীপ কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি মন্টুরাম পাখিরা। ন্যাকের মূল্যায়নের জন্য কর্মীর প্রয়োজন ছিল, তাই নিয়োগ, সাফাই মন্টুরামের। পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় গভর্নিং বডি, এমনটাই বলেন মন্টুরাম। তিনি এও বলেন, 'প্রত্যেকেই দরিদ্র, অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করছে'। তিনি বলেন, 'মহাবিদ্যালয় পরিচালন সমিতি স্টাফের মধ্যে কিছুটা অপ্রতুলতা আছে এবং সেই সময়টা ন্যাকের কাজ চলছিল। সেই সময় গভর্নিং বডি সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে, অস্থায়ী কয়েকজনকে নেওয়া হবে। সেই ভাবে অস্থায়ী কয়েকজনকে নেওয়া হয়েছে এবং তারা দরিদ্র পরিবারের ছেলে।'
TMCP করত বলেই কাকদ্বীপ কলেজে নিয়োগ করা হয়েছিল ৭ জনকে। অভিযোগ করেছেন এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ও ABVP নেতা নিপুণ দাস। তাঁর অভিযোগ, এই নিয়োগের বিরোধিতা করায় ২০২৩ সালে ইউনিয়ন রুমে ঢুকিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। কাকদ্বীপ থানায় অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি বলে ABVP নেতার অভিযোগ। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
কয়েকদিন আগে উত্তরপাড়ার রাজা প্যারীমোহন কলেজেও মনোজিৎ-মডেলের ছবি ধরা পড়ে। SFI-এর দাবি, ২০১১ সালের পর উত্তরপাড়ার রাজা প্য়ারীমোহন কলেজে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দশজন নেতাকে। অধ্য়ক্ষর দাবি, এই চাকরি হয়েছে পরিচালন সমিতির সুপারিশে। পরিচালন সমিতির মাথায় রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। যিনি কার্যত দায় ঠেলেছেন পূর্বসূরিদের দিকে।