Live

চারজনকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। বিশদ পড়ুন। #DroupadiMurmu #RajyaSabha #ABPAnanda

 Droupadi Murmu: ২৬/১১ মামলার আইনজীবী থেকে প্রাক্তন বিদেশসচিব, চারজনকে রাজ্য়সভায় মনোনীত করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

Rajya Sabha: বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য়সভায় চার সদস্যের মনোনয়নের কথা জানানো হয়েছে।


নয়াদিল্লি: মুম্বই বিস্ফোরণ মামলার আইনজীবী থেকে প্রাক্তন বিদেশ সচিব, রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে চার জনকে মনোনীত করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ২৬/১১ মুম্বই হামলা থেকে একাধিক হাই প্রোফাইল মামলায় আইনজীবী হিসেবে লড়াই করা উজ্জ্বল নিক্কম রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। সমাজকর্মী সি সদানন্দ মাস্টার এবং ইতিহাসবিদ মীনাক্ষি জৈনও রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন। (Droupadi Murmu)

বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য়সভায় চার সদস্যের মনোনয়নের কথা জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্বারা মনোনীত আগের চার রাজ্যসভা সাংসদ অবসর গ্রহণ করাতেই, শূন্যপদ পূরণে নতুন চারজনের নাম মনোনীত করা হল। রাজ্যসভায় মোট ১২ জনকে মনোনীত করার ক্ষমতা আছে রাষ্ট্রপতির। সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্প, সমাজসেবার সঙ্গে যুক্তদেরই এক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হয় মূলত। রাজ্যসভার চারটি আসন শূন্য পড়েছিল। সেই শূন্যস্থান পূরণেই চার জনকে মনোনীত করলেন রাষ্ট্রপতি। (Rajya Sabha)

এই চার জনের মধ্যে নিক্কমের পরিচিতিই সবচেয়ে বেশি। ৭২ বয়সি নিক্কম দুঁদে আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলা হোক বা 26/১১ মুম্বই হামলা, অথবা বলিউডের মিউজিক প্রোডিউসার গুলশন কুমার হত্যা মামলা, হাই প্রোফাইল মামলায় আইনজীবী হিসেবে লড়াই করেছেন তিনি। বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজন হত্যা মামলাতেও তিনিই আইনজীবী ছিলেন। গতবছর লোকসভা নির্বাচনে নিক্কমকে টিকিটও দেয় বিজেপি। মুম্বই নর্থ সেন্ট্রাল থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হন নিক্কম। কিন্তু কংগ্রেসের বর্ষা গায়কোয়াড়ের কাছে পরাজিত হল তিনি।অন্য দিকে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ভারতের বিদেশ সচিব ছিলেন শ্রিংলা। ২০২৩ সালে ভারতে আয়োজিত G-20 সম্মেলনের মূল সমন্বয়কারীও ছিলেন তিনি। একসময় আমেরিকা এবং বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূতের ভূমিকাও পালন করেছেন শ্রিংলা।

কেরলের সমাজকর্মী সি সদানন্দ একজন শিক্ষাবিদও। আজ থেকে প্রায় তিন দশক আগে তাঁর দুই পা কেটে নেওয়া হয়। সিপিএম কর্মীদের দিকেই সেই সময় আঙুল ওঠে। ২০১৬ সালে কুঠুপারম্বা থেকে ভোটেও দাঁড়ান সদানন্দ। কিন্তু সেবার তৃতীয় স্থান পান তিনি

ন্য দিকে, মীনাক্ষি একজন রাজনীতিবিদ, ইতিহাসবিদ। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২০২০ সালে তিনি ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান পান। ইন্ডিয়ান কাউন্সিলফল হিস্টোরিকাল রিসার্চের সদস্যও ছিলেন। রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভায় চার জনকে মনোনীত করার পর তাঁদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

Previous Post Next Post